করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত প্রায় তিন মাসে করোনায় এটা সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ৪০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন ও নারী ১৪ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ১২৯ জনে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর করোনাভাইরাসে একদিনে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়। ২১ সেপ্টেম্বরও এ ভাইরাসে ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০টি ল্যাবরেটরিতে ১৯ হাজার ৩২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৯ হাজার ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ লাখ ৫ হাজার ৫১২টি। এ সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৭৭ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০৯ জনে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৮৮৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭২৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক শূন্য ৮৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩৫ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মোট মৃত ৭ হাজার ১২৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৪৩৯ (৭৬ দশমিক ২৯শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৬৯০ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৭১শতাংশ)।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪০ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৮ জন। তাদের মধ্যে
ঢাকা বিভাগের ২৪ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন, খুলনায় একজন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের দুজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুজন রয়েছেন।
You cannot copy content of this page